শিরোনাম
একবার কলার চারা রোপণ করে দুই বছরে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিভিন্ন জাতের কলার ব্যাপক চাষ হচ্ছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত হওয়ায় দিনদিন এ উপজেলায় কলার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলা বিক্রি করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভাগ্য ফিরেছে চাষিদের। ইন্দুরকানীর কলা পরিণত হয়েছে ব্র্যান্ডে।
কলা চাষ, ব্যবসা ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত ইন্দুরকানীর কয়েক হাজার পরিবার। এখানকার উৎপাদিত কলার চাহিদা সারাদেশে। এ কারণে দিনদিন কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, পিরোজপুরে এ বছর ১ হাজার ১০৯ হেক্টর জমিতে কয়েকটি জাতের কলা আবাদ হয়েছে। এসব কলা এক মাসের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে। গত দুই দশক ধরে ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী, বালীপাড়া, চণ্ডিপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অনুপম, সাগর, সবরি, কাঁচকলা, চিনিচাম্পাসহ কয়েকটি জাতের কলা যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। বর্তমানে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় বাগান থেকেই কলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপারীরা। এতে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন চাষিরা।
পত্তাশী ইউনিয়নের কলা চাষি শুভ মিত্র বলেন, কলার রোগবালাই কম, ফলন নিয়েও দুশ্চিন্তা নেই আমাদের। আমরা প্রতি বছর আশানুরূপ ফলন পাচ্ছি।
কলা নিতে আসা রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিরন খান জানান, সুস্বাদু হওয়ায় ঢাকায় ইন্দুরকানীর কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মোকামে অনেকেই এ এলাকার কলার খোঁজ করেন। তাই ট্রাক নিয়ে এসেছি কৃষকদের বাগান থেকেই কলা কিন নেব। এ বছর কৃষকরা কলার দাম একটু বেশি চাচ্ছে।
কলার আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করার দাবি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামানের। তিনি বলেন, সুস্বাদু ও ফলন ভালো হওয়ায় ইন্দুরকানীর কলা এখন ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে। এ কারণে চলতি মৌসুমে কলা আবাদে জমির পরিমাণ প্রায় ৫০০ হেক্টর বেড়েছে। প্রতি বছর কলার আবাদ বাড়ছে।