শিরোনাম
বন্যায় নাকাল হয়েছে পড়েছে সিলেটবাসী। নগরীর লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। কয়েক দিন ধরে বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নগরবাসীর চরম ভোগান্তির সময়ে ‘নগরপিতার’ লন্ডনে অবস্থা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৯টার দিকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট আসেন।
তিনি বলেন, সুরমা নদী খনন ছাড়া বন্যা পরিস্তিতি সামাল দেওয়া সম্ভব না। আমরা যাই করি না কেন, নদী খনন না করলে কোনো কিছু কাজে আসবে না। এতদিন কেন এলেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে টিকেট না পাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি।
বর্তমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির জন্য নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদী উপচে পড়াকে দায়ী করছে সিসিক। তবে নগরবাসী অপরিকল্পিত উন্নয়ন, ছড়া-খাল উদ্ধার, ড্রেন সংস্কার ও নির্মাণে ধীরগতিতে ভোগান্তি দাবি করে সিসিককে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বুধবার স্থানীয় সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ছুটে এসেছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুল হককে সঙ্গে নিয়ে নগরীতে বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে বুধবার রাতে ভারপ্রাপ্ত মেয়র তৌফিক বকস বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য নগরীতে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলররা সার্বক্ষনিকভাবে দুর্গত মানুষের পাশে রয়েছেন।
সূত্র: আরটিভি