শিরোনাম
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে অব্যাহত থাকায় সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সুরমা নদীর পানি বেড়ে সিলেট শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শহরের সোবহানীঘাট, যতরপুর, উপশহর, তেরোরতন, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়, কালিঘাট ও তালতলাসহ আরও কয়েকটি এলাকার বাসা বাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে টানা পাঁচ দিন ধরে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় সুরমা ন্দীর ডাইক ভেঙে বারহাল, মানিকপুর, বীরশ্রী, কাজলসারসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।এ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। সব মিলিয়ে সিলেটে লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি। বৃষ্টি ও পানির ঢল অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে সিলেটের আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণেই মূলত সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়েছে। তাছাড়া উজানের ঢলের কারণে সিলেটের নদনদীর পানি বাড়ছে। তিন দিন আগেও যেখানে পানি নদীর পাড় থেকে কয়েক ফুট নিচে ছিল সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। এইরমধ্যে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জে বিপদসীমায় ২৯ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সুরমা নদীর তীরবর্তী ২০ হাজার মানুষ। পানিতে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুরসহ নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ডুবে আছে এসব এলাকার বাদামসহ মৌসুমী সবজি।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, পানিতে সদর ও তাহিরপুর উপজেলার ২০ হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে গেছে।
সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, সিলেটের নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এটি দুশ্চিন্তার কারণ। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর সেই পানি উজান বেয়ে বাংলাদেশে আসছে। যদি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টি না কমে, তবে এই পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।টানা বর্ষণ আর ঢলের কারণে সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্র: আরটিভি