রক্তপাতহীন লড়াই করে জয়ী হতে চেয়েছিলেন মুহিবুল্লাহ

ফানাম নিউজ
  ০১ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৫৭

শীর্ষ নেতাকে হারিয়ে এক প্রকার শোকে কাতর হয়ে গেছে রোহিঙ্গারা। সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছে, অনেকেই নিজেদের নেতা দাবি করলেও তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন মুহিবুল্লাহ। তাকে যে কোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে পাওয়া যেত বলে জানান রোহিঙ্গারা।

কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা  নুরুল আলম, সাদ্দাম হোসেন ও মৌলভী জাফর আলম বলেন, মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর মনে হচ্ছে আমরা আমাদের অনেক বড় শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুহিবুল্লাহর সম্পর্ক থাকায় মিয়ানমারের ওপরে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা সবসময় তাকে সামনে রেখে রক্তপাতবিহীন লড়াই চেয়েছিলাম। মুহিবুল্লাহ নিজেও প্রায় সময় বলতেন রক্তপাতবিহীন লড়াই করে জয়ী হয়ে একদিন মিয়ানমারে ফিরব আমরা। বিজয়ের খুব কাছাকাছি সময় এসে নেতা মুহিবুল্লাহকে  হারিয়ে ফেলেছেন তারা।

মুহিবুল্লাহর মতো দ্বিতীয় আর কেউ নেই উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা। তবে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা না করে রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

গত বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে উখিয়ায় কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়ির সামনে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মুহিবুল্লাহ সবসময় রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে প্রত্যাবাসন বিরোধী কোনো একটি চক্র তাকে হত্যা করেছেন বলে ধারণা রোহিঙ্গাদের।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ ছিলেন প্রত্যাবাসনের পক্ষের লোক। তিনি সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। সাধারণ রোহিঙ্গারা মুহিবুল্লাহর কথা শুনত। হয়তো এ কারণেই তিনি প্রত্যাবাসনবিরোধীদের শত্রুতে পরিণত হয়েছিলেন। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। সব তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর