পালিত সন্তান নিয়ে ঝগড়া, গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ফানাম নিউজ
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৩৩
আপডেট  : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪০

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পালিত সন্তান নিয়ে কলহের জেরে শামিমা আকতার (২৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার রণবাঘা সোনাপুকুরিয়া গ্রামের শয়নঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শামিমা আকতার নন্দীগ্রাম উপজেলার সোনাপুকুরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। তিনি তিন মাস আগে প্রতিবেশী পক্ষাঘাতগ্রস্ত রেহেনা বেগমের পাঁচ মাস বয়সী ছেলে আবদুল্লাহকে লালন-পালনের জন্য গ্রহণ করেন। তখন অসুস্থ রেহেনা তার সন্তানের খরচের জন্য ৩০ হাজার টাকা দেন। বাচ্চা লালন-পালন করা নিয়ে কথায় কথায় ভুল ধরা হলে শামিমা বিরক্ত হন। একপর্যায়ে তিনি ওই সন্তানকে লালন-পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। রেহেনা তার দেওয়া ৩০ হাজার টাকাসহ ছেলেকে ফেরত চান। 

কিন্তু শামিমা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। মঙ্গলবার দুপুরে রেহেনার বোন সফুরা বেগম ও ভাই বকুল বাড়িতে গিয়ে শামিমার কাছে টাকাসহ ভাগ্নে আবদুল্লাহকে ফেরত চান। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে শামিমাকে কিলঘুষি মারা হয়। একপর্যায়ে তারা শিশু আবদুল্লাহকে নিয়ে যান। 

এতে শামিমা মন:ক্ষুণ্ন হন এবং স্বামী আজিজুল হকের কাছে বিচার দাবি করেন। তখন আজিজুল এর বিচার করতে পারবেন না বলে স্ত্রীকে জানিয়ে দেন। বুধবার সকালে শয়নঘরে আড়ার সঙ্গে শামিমার ওড়নায় ফাঁস দেওয়া লাশ দেখতে পাওয়া যায়।

নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আবদুল বারী জানান, পালিত সন্তান নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়ার কথা শুনেছেন। তবে গৃহবধূ শামিমা কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা তিনি জানেন না। 

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ হলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ধারণা, পালিত সন্তান নিয়ে প্রতিবেশীরা মারধর করা ও স্বামী এর বিচার না করায় মনের দু:খে গৃহবধূ শামিমা আত্মহননের পথ বেছে নেন। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।