১৮ জনকে অভিযুক্ত করে ‘জনতার আদালতে’ কাদের মির্জার জিডি

ফানাম নিউজ
  ০৩ মার্চ ২০২২, ১১:৫৩

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরসহ ১৮জনকে অভিযুক্ত করে ‘জনতার আদালতে’ (সাধারণ ডায়েরি) জিডি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত ও সমালোচিত মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তার দাবি তাকে হত্যা ও নেতা-কর্মী শূন্য করার জন্য অভিযুক্তরা নীলনকশা এঁকেছে।  

ওই জিডিতে ফেনী-২ ( ফেনী সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম এবং নোয়াখালীর এসপি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও-ওসির নামও রয়েছে।

গতকাল কাদের মির্জা তার ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসে জনতার আদালতে এ জিডি করেন। এ ছাড়াও জিডিতে তার দুই ভাগনের নামও রয়েছে। তারা হলেন কাদের মির্জার ছোট বোনের ছেলে তার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রীর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন ও ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, কাদের মির্জার এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় জিডি করেন। কোম্পানীগঞ্জের গত এক বছর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নৈপথ্যের মূল নায়ক তিনি। কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার পেশীবাদী রাজনীতি ও লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ হতে যাচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তার বিরুদ্ধে সোচ্ছার। এজন্যই তিনি ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা যখন ওনার অন্যায় আবদার ও পেশীবাদী মানসিকতাকে সাপোর্ট দিচ্ছে না তখনই এসপি, ইউএনও, ওসির বিরুদ্ধে তিনি বিষেদাগার করছেন। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষেদগারই এখন তার মূল হাতিয়ার।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তিনি নানান মন্তব্য করে পুলিশের কর্মকর্তাদের হয়রানি ও সুবিধা হাসিলের জন্য চেষ্টা করছে।   

কাদের মির্জার স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো:

আমাকে হত্যা ও নেতা-কর্মী শূন্য করার জন্য যারা নীলনঁকশা এঁকেছে তাদের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে জিডি করলাম। ১। ইসরাতুনেসা কাদের ২।  নিজাম হাজারী ৩। একরামুল করিম ৪।  ফখরুল ইসলাম রাহাত ৫।  মিজানুর রহমান বাদল ৬।  খিজির হায়াত ৭।  আজম পাশা রুমেল ৮।  সিরাজিস সালেকিন রিমন ৯। কানা আবদুর রেজ্জাক ১০।  জাহেদুল হক কচি ১১।  হানিফ সবুজ ১২।  নজরুল ইসলাম শাহিন ১৩।  আজ্জুমান পারভীন রুনু ১৪।  শহীদুল হক (এস.পি, নোয়াখালী) ১৫। জিয়াউল হক মীর (ইউএনও কোম্পানীগঞ্জ) ১৬।  সাজ্জাদ রোমন (ওসি কোম্পানীগঞ্জ) ১৭।  দিদারুল কবির রতন। ১৮ জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী মহোদয়ের কথিত সহকারী)।