শিরোনাম
১১ ফুট লম্বা কচু। ওজন ৩ মণ। বহন করতে প্রয়োজন হয় চারজন লোকের। এমনই এক কচু দেখতে বরিশালের উজিরপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান সরদারের বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
স্থানীয়রা বলছেন, সাধারণত ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত মানকচু দেখা যায়। তবে খলিলুর রহমানের বাড়ির কচুটি ১১ ফুট লম্বা। এ ধরনের বিশাল আকৃতির কচু সাধারণত দেখা যায় না।
খলিলুর রহমান সরদার জানান, তিনি ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী। উজিরপুর বাজারে তার দোকান আছে। ২০১৮ সালে শখেরবসে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পেছনে ফাঁকা জমিতে একটি সাহেবি কচুর (মানকচুর একটি জাত) চারা রোপণ করেন। কচুটি দ্রুত বেড়ে উঠতে শুরু করে। কচুটির বিশাল আকৃতির কারণে খুঁটি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কচুটি কেটে বাড়িতে নিয়ে আসেন। মেপে দেখেন ওজন প্রায় তিন মণ।
খলিলুর রহমানের প্রতিবেশী শামীম হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে এ ধরনের বিশাল আকৃতির কচু বিক্রি হয় না। ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা কচু বিক্রি হয়। সেগুলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সে হিসাবে খলিলুর রহমানের সাহেবি কচুটির দাম সাড়ে চার হাজার টাকার বেশি হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদ বলেন, ‘বিষয়টি আজ বিকেলে জানতে পেরেছি। কাল অফিস স্টাফদের পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। যদি সম্ভব হয় সাহেবি কচুটি ঢাকা আন্তর্জাতিক কৃষিমেলায় নেওয়া হবে।’
সূত্র: জাগো নিউজ