শিরোনাম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর জন্মপরিচয় নিয়ে কটাক্ষ করেছেন এক শিক্ষক। এ ঘটনার জেরে ফেসবুক লাইভে এসে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনার ব্যাখ্যা করে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট খান ওই শিক্ষার্থী।
এই ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যায় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ওাই শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষকও একই বিভাগের।
সূত্র জানায়, বিকেলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ওই শিক্ষকের কাছে যান। এসময় ওই শিক্ষক তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার বাবা কী করেন, পদ কী, বয়স কত। সবশেষে তার জন্মের পরিচয় নিয়েও কটাক্ষ করেন। এমনকি ছাত্ররাজনীতি করে এই বিভাগে লাভ হবে না বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
এরপর ওই শিক্ষার্থী ক্ষোভে ফেসবুক লাইভে ওসে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট খান। পরে সহপাঠীরা ফেসবুকে বিষয়টি অবগত হয়ে তাকে উদ্ধার করে ত্রিশালের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হুদা বলেন, আগে ওই শিক্ষার্থীকে সুস্থ করে তুলি, পরে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, প্রথমে আমাদের শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নিশ্চিত করে সুস্থ করে তুলি। এরপর এ বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান তারা।
সূত্র: জাগো নিউজ