শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় আমেনা বেগম (৫৭) নামে এক নারীকে কোপানোর পর কম্বলে পেঁচিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে।গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আশারকোটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনায় ছেলে মিলনকে আটক করেছে পুলিশ। মিলন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মৃত আমেনা বেগম ওই বাড়ির মৃত আকবর হোসেনের স্ত্রী। মিলন তাদের ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিলন দুই বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছে। দুবার তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। সম্প্রতি তাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে আনা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় মা আমেনার সঙ্গে মিলন নানাবাড়ি থেকে বাসায় ফেরেন। ঘরে তারা দুজনই থাকেন। রাতের কোনো একসময় মিলন মাকে কুপিয়ে কম্বল পেঁচিয়ে শরীরের আগুন লাগিয়ে দেয়। ফজরের আজানের সময় ঘর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকেন।
একপর্যায়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পান আমেনার দেহ আগুনে পুড়ছে। পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিশ পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নুরুল আমিন বলেন, ঘটনাটি খুবই ভয়াবহ। মিলন আগে সুস্থ ছিল। দুই বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। অসুস্থতার কারণেই হয়তো বৃদ্ধ মাকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলেছে।
তিনি আরও জানান, মিলনের বাবা প্রবাসী ছিলেন। তিনি কয়েকবছর আগে বিদেশেই মারা যান। তার আরও দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন প্রবাসী ও আরেকজন ঢাকায় চাকরি করেন।
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, পুলিশ ওই ছেলেকে আটক করেছে। শুনেছি সে মানসিকভাবে অসুস্থ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: যুগান্তর