শিরোনাম
কয়েক মাস আগে যোগাযোগমাধ্যম ইমোর সাহায্যে পরিচয় হয় ধর্ষণের অভিযোগে আটক মো. মনির হোসেন শুভ’র সঙ্গে। এরপর মাত্র কয়েক দিনেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একে অপরের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন।
এরপর প্রেমিক শুভ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী থেকে ওই তরুণীকে ঢাকায় ডেকে আনে। ঢাকায় আসার পর প্রথমে মনির হোসেন শুভ ও তারপর তার বন্ধু আল আমিন ওরফে বিল্লাল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মনির হোসেন শুভসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রমনা বিভাগের একাধিক টিম অভিযুক্ত আল-আমিন ও সবুজকে গ্রেপ্তার করে।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ্।
শাহেন শাহ্ বলেন, ঢাকার লালবাগের মনির হোসেন শুভর সঙ্গে কয়েকমাস আগে ইমো কলের মাধ্যমে পরিচয় হয় পটুয়াখালীর তরুণীর। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর শুভ মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং ঢাকায় আসার কথা বলে।
শুভর কথায় রাজি হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় আসে ওই তরুণী। লঞ্চে করে ঢাকায় আসলে সদরঘাট থেকে শুভ মেয়েটিকে লালবাগ কেল্লা মোড়ে আসতে বলে। এরপর শুভ তরুণীকে লালবাগের একটি বাসায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, প্রথম দিনেই শুভ ওই তরুণীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর শুভর বন্ধু আল আমিন ওরফে বিল্লাল নামের এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় করিয়ে দেয় শুভ। রাতে শুভর বাসায় থাকা যাবে না বলে তরুণীকে আল আমিনের বাসায় থাকতে বলে। পরে আল আমিন তরুণীকে নিয়ে তার বাসাবোর বাসায় যায়। আল আমিনের বাসায় গিয়ে তরুণী দেখে সে একটি মেস বাসায় থাকে। সেই বাসায় আল আমিন ছাড়া আর কেউ নেই। এরপর মেয়েটির মনে সন্দেহ হতে থাকে। শুভকে ফোন করে মেয়েটি কান্নাকাটি করে বলে, এই মেস বাসায় কেন পাঠালে আমাকে। এরপর আল আমিনও তরুণীকে ধর্ষণ করে। ওই মেসে সবুজ নামে এক যুবক আসে। সেও মেয়েটিকে ধর্ষণ চেষ্টা করে তবে তার বাধার কারণে পারেনি।
এডিসি শাহেন শাহ্ বলেন, ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি আল আমিনের মেসে গিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মনির হোসেন শুভ তরুণীকে পটুয়াখালী ফিরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু মেয়েটি তখন বলে, কেন আমাকে বিয়ের কথা বলে ঢাকায় নিয়ে এলে। এ সময় শুভ ও আল আমিন দুজন মিলে মেয়েটিকে মারধর করে। এরপর আল আমিনকে দিয়ে শুভ ভুক্তভোগীকে রিকশায় পাঠিয়ে দেয়। আল আমিন টিএসসিতে এসে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর তরুণীটি ঢাকা মেডিকেলে আসে।
ভিকটিম তরুণীটির বক্তব্যের সঙ্গে আটকদের কথার মিল রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এছাড়াও ভিকটিম আরও দুজনের নাম বলতে পারেনি। তাদেরকে আটক করতে অভিযান চলছে।
শাহেন শাহ্ বলেন, মেয়েটির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।