আবরার হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সেতুর আপিল শুনানির জন্য মঞ্জুর

ফানাম নিউজ
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:২৩
আপডেট  : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:২৬

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এস এম মাহমুদ সেতুর খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ আপিল আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ আসামি সেতুর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল ও ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল।

তিনি জানান বুয়েটের আবরার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এস এম মাহমুদ সেতুর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আজ আপিল আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। এখন মামলাটির পেপারবুক তৈরি হলে আপিলের বিষয়ে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসামি সেতুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল ও ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী এই আপিল দায়ের করেন।

আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। এরপর ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা–কর্মী।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। তাদের মধ্য মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার।

সূত্র: জাগো নিউজ