শিরোনাম
চট্টগ্রামে এক বিচারককে গাড়ির ধাক্কা দিয়ে উল্টো তাঁকে মারধরের ঘটনায় রানা মরতুজা নামের এক প্রবাসীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে চায় পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন—মরতুজার বন্ধু শিশির মাহমুদ, গাড়িচালক আবদুর রহিম, মরতুজার বোন মাসুকা সুলতানা ও জিবান সুলতানা।
রানা মরতুজা বেলজিয়ামপ্রবাসী। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তিনি চট্টগ্রামে তাঁর বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।
বিচারককে মারধরের অভিযোগে রানা মরতুজাকে গতকাল রাতেই নগরের পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে শিশির ছাড়া বাকি চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন, কী উদ্দেশ্যে তাঁরা বিচারককে মারধর করেছেন, তা জানার জন্য আজ মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদ বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে নগরের জিইসি মোড়ের একটি কফি শপ থেকে বেরিয়ে হেঁটে গোলপাহাড় মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি ব্যক্তিগত গাড়ি বিচারককে ধাক্কা দেয়। তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানালে গাড়িতে থাকা পাঁচজন নেমে তাঁকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। বিচারক তাঁর পরিচয় দেওয়ার পরও আসামিরা তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করতে থাকেন। বিচারক স্বামীকে মারতে বারণ করলে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন নারী আসামিরা। একপর্যায়ে বিচারক ও তাঁর স্ত্রীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আসামিরা। পরে পথচারীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। মারধরে বিচারকের একটি দাঁতের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এ ছাড়া তিনি হাতে ও বুকে আঘাত পান। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গত রাতে চিকিৎসা নেন।
বিচারকের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সূত্র: প্রথম আলো