উপমহাদেশের সংগীতাঙ্গনে বিশাল এক শূন্যতার সৃষ্টি হলো: প্রধানমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৫৯
আপডেট  : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:০৬

উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সুরসম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে উপমহাদেশের সংগীতাঙ্গনে বিশাল এক শূন্যতার সৃষ্টি হলো।

লতা মঙ্গেশকর তার কর্মের মধ্য দিয়ে চিরদিন এ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন বলেও শোক বার্তায় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রয়াত কোকিলকণ্ঠী এই শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রায় চার সপ্তাহ মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কোকিলকণ্ঠী এই শিল্পী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোভিড পরবর্তী জটিলতার কারণে মৃত্যু হলো লতা মঙ্গেশকরের। এদিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। এখন তার মরদেহ শিবাজি পার্কে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন চলছে, সেখানেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। 

১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা। সঙ্গীত জগতের অবিসংবাদী সম্রাজ্ঞী হওয়ার আগে শিশু অভিনেতা হিসেবেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন এই প্রবাদ প্রতিম শিল্পী। ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির সৌজন্যে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। 

লতার সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে বুঁদ থেকেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। সাত দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ত্রিশ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্নে ভূষিত করা হয় লতাকে। এর আগে ‘পদ্মভূষণ’, ‘পদ্মবিভূষণ’-এর মতো নাগরিক সম্মানও দেওয়া হয়েছে লতা মঙ্গেশকরকে। চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকে দ্বারাও সম্মানিত হয়েছেন তিনি। অনেকের বিচারে ভারতের সর্বকালের সেরা সংগীত শিল্পীদের একজন তিনি।