শিরোনাম
ফেব্রুয়ারি শুরুই হতো নতুন নতুন বইয়ের ঘ্রাণে। কিন্তু করোনার চোখ রাঙানিতে পরপর দুই বছর বইমেলা ছাড়া শুরু হয় ফেব্রুয়ারি। তবে গত বছর মেলা ১৮ মার্চে শুরু হলেও ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ থিমকে ধারণ করে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এবারের বইমেলা।
আর এই লক্ষ্যে গতবারের করোনা-অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যবিধি আরও জোরদারের বিষয়টি মাথায় রেখে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
সম্প্রতি মেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে সঙ্গে আলাপকালে মেলার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত বছর মেলা ছিল করোনা আক্রান্ত। এবারও তা-ই। মেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কতদিন চলবে। আমরা আশা করছি গতবারের তুলনায় এবার ভালো মেলা হবে। গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা হবে। পর্যাপ্ত উন্মুক্ত জায়গা রেখে স্টল বিন্যাস করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, এবার অংশ নিচ্ছে ৪৬১টি প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ স্টল হবে। প্যাভিলিয়ন হবে ৩৪টি।
এবার প্রবেশমূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্টল নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্ন। জোর হাতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৭ সালে তার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেন।
১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এই মেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। পরের বছর মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।
১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও ওই বছর তা আর করা যায়নি। পরের বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই সূচনা হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলার।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন