সিলেটে বঙ্গবন্ধুর নামে চক্ষু হাসপাতাল স্থাপনের দাবি এমপি হাবিবের

ফানাম নিউজ
  ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:২৪
আপডেট  : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৩৯

সিলেট-৩ আসনের এমপি ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেটে বঙ্গবন্ধুর নামে চক্ষু হাসপাতাল স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) জতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ভিত্তি করে বক্তব্য প্রদানকালে এ দাবি উত্থাপন করেন তিনি। এছাড়াও এমপি হাবিব ফেঞ্চুগঞ্জে একটি ইপিজেড (আদমজী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল), বালাগঞ্জে একটি কৃষি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, প্রবাসীদের জন্য একটি এনআরবি ভিলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর রোববার বক্তৃতায় সিলেট-৩ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন হয়েছে বলে আজ সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। সিলেটসহ দেশের সাম্প্রতিক যতগুলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে বা হচ্ছে সবগুলোতেই বিএনপির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারায়ণগঞ্জের মতো জায়গায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রমাণ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে চলেছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।

এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে এমপি হাবিব বলেন, তারা নিজেদের মধ্যে বিরোধ নিয়েই ব্যস্ত। এমনকি স্টেজে বসা নিয়েও তারা একে অন্যের সাথে ঝামেলা করে। তাদের লণ্ডন থেকে একটা ওহি আসে আবার হাসপাতাল থেকে একটা ওহি আসে। এভাবেই চলছে বিএনপি। 

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে সিলেটের এই সাংসদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আমার নির্বাচনী এলাকার ফেঞ্চুগঞ্জে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আমাদের প্রচুর গ্যাসও আছে। এ অবস্থায় ফেঞ্চুগঞ্জে প্রবাসী বা এনআরবিদের জন্য একটি বিশেষ ইপিজেড প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই। সেটি ফেঞ্চুগঞ্জেও হতে পারে বা দক্ষিণ সুরমায়ও হতে পারে।

এরপর তিনি বালাগঞ্জের দিকে সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই উপজেলা একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। এখানকার ঐতিহ্য শীতল পাটি। এই বালাগঞ্জে একটি কৃষি শিল্প প্রতিষ্ঠান জরুরি।

ঝুলন্ত ব্রিজের প্রসঙ্গ টেনে এমপি হাবিব বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাবেক স্পিকার, মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বর্তমান কিনব্রিজের স্থলে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ তৈরির যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। এমনকি নকশা করাও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে তা আর বাস্তবায়ন করেনি। তারা কাজিরবাজার এলাকায় একটি ব্রিজ স্থাপন করে দেয়। এখানে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ হলে বা চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীতে যেমন টানেল হয়েছে তেমন একটা টানেল হলে উত্তর ও দক্ষিণ সুরমার মধ্যে সংযোগ যেমন স্থাপন হতো, তেমনি সিলেট মহানগরীর যানজটও অনেকটা নিরসন হতো এবং নাগরিক জীবনে স্বস্তি আসতো।

এমপি হাবিব তার বক্তব্যে বৃহত্তর সিলেটে চক্ষু হাসপাতাল না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কোন চক্ষু হাসপাতাল নেই। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সরকারি চক্ষু হাসপাতাল স্থাপনের জোর দাবি জানাই।