শিরোনাম
করোনা প্রকোপ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য পাঁচ দেশ ভ্রমণে বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশিদের ওপর ভ্রমণে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। তবে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এসব দেশ ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিল হলেও এখনই সব দেশের ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হচ্ছে না।
জাপান
গত জুন মাস থেকে বাংলাদেশসহ আরও ৬ টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাপান। তবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি। ফলে দেশটিতে ভ্রমণে আর কোনো বিধি নিষেধ থাকল না।
থাইল্যান্ড
গত ১০ মে থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ ভিসা বন্ধ করে দেয় থাইল্যান্ড। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবারও ভিসা চালু করেছে থাইল্যান্ড। তবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে দুটি শর্ত। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়া থাইল্যান্ড যেতে সার্টিফিকেট অব অ্যান্ট্রি- সিওই নিতে হবে।
মালয়েশিয়া
গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারছেন। মালয়েশিয়ায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট, লং টার্ম পাস হোল্ডার, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারীরা দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের গত ৮ মে থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় মালয়েশিয়া সরকার। তবে মালয়েশিয়া প্রবেশে কেস বাই কেস বেসিসে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভ্যালিড ভিসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টিকা ডোজ, কোভিড নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। একইসঙ্গে সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
যুক্তরাজ্য
গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের রেড অ্যালার্ট জারি করে যুক্তরাজ্য। রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহারে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দীর্ঘ দিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত গত ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য সরকার রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করে নেয়।
নেদারল্যান্ডস
বাংলাদেশি নাগরিকদের পুরো ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার পর তাদের আর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই। তবে ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরুর আগে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।