শিরোনাম
রাজধানীর অলিতে-গলিতে ভ্যানে করে সাংসারিক জীবনের দুই টাকার বিভিন্ন প্লাস্টিকপণ্য বিক্রি করে লাখ টাকার মালিক হয়েছেন মোহাম্মদ রাজু (৩৯)। বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার কৈচড়া গ্রামে। সূত্র: বাংলা নিউজ
১৯৯৯ সালে এসএসসি পাস করার পর ঢাকায় এসে গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু যে টাকা বেতন পেতেন তাতে চলতে না পারায় প্রথমে ৭০০ টাকা পুঁজি নিয়ে দুই টাকার প্লাস্টিকের সরঞ্জাম বিক্রি শুরু করেন। এখন ৫০০ টাকার পর্যন্ত মালামাল পাওয়া যাচ্ছে তার ভ্যারাইটিজ আইটেমের ভ্যান গাড়িতে। যেখানে রয়েছে ৮ শতাধিক আইটেমের পণ্য।
মো. রাজু বলেন, ২০১১ সালে এ ব্যাবসা শুরু করি। করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বেচাকেনা করতাম। এখন তা ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায় নেমে এসেছে। কারণ স্কুল-কলেজ খোলার পর সবারই ছেলে-মেয়েদের জামা-কাপড়, স্কুলের জিনিসপত্র কেনা লাগছে- তাই এসব সাংসারিক ভ্যারাইটিজ মালের চাহিদা একটু কমে গেছে। আশাকরি আস্তে আস্তে সব আবার আগের জায়গায় চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমার এখানে সুই-সুতা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকারও জিনিস পাওয়া যায়। শুধু চাকরির অপেক্ষা না করে কেউ যদি যে কোনো একটা কাজ শুরু করে, তবে একদিন না একদিন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি আরও বলেন, চকবাজার থেকে প্রতি মাসে ৬০/৭০ হাজার টাকার মাল কিনে আনি। সেগুলো ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করি। সপ্তাহের সাতদিন সাত এলাকায় বিক্রির জন্য যাই।
মো. রাজু বলেন, ঢাকায় বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকি। ছেলে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। ভ্রাম্যমাণ এই দোকান (ভ্যান গাড়ি) তৈরি করতে এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ ব্যবসা করে গ্রামে জায়গা কিনে একটা টিনের ঘর তৈরি করেছি মায়ের জন্য। প্রতি মাসে বাড়িতে তিন হাজার টাকা পাঠাই মায়ের জন্য। সব মিলিয়ে আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
রাজুর ভ্রাম্যমাণ ভ্যারাইটিজ স্টোর থেকে মেয়ের জন্য প্লাস্টিকের পুতুল কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ ইতি। তিনি বলেন, এই ভ্রাম্যমাণ গাড়ি সামনে পড়লেই আমি কিছু না কিছু কিনি, কারণ এই গাড়িতে থেকে অনেক ধরনের মাল পাওয়া যায়। দামও এলাকার দোকানের চেয়ে কম।