দেশে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে : অর্থমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:১৩

দেশে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ শনিবার (০১ জানুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কীত চূড়ান্ত সুপারিশের প্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এমন কথা বলেন। সূত্র: আরটিভি

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সারাবিশ্বেই মূল্যস্ফীতি আছে। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি নাই, আমাদের এখানে ইনফ্লাশন নাই। কিন্তু জিনিসের দাম বাড়ছে। কম বাড়ছে, সহনীয় পর্যায়ে আছে। আপনারা যদি অন্য যে কোনো দেশের সঙ্গে মেলান। এই মুর্হুতে মূল্যস্ফীতির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ সবচেয়ে সেরা জায়গা। আপনাদের সেটা বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো (মূল্যস্ফীতি) আমাদের এখানে নাই। গত ১৫ বছর ধরে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশের নিচে। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

রেমিটেন্সে প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে আমাদের ২৬ বিলিয়ন ডলারে রেমিটেন্স সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। এজন্য প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২দশমিক ৫শতাংশ করা হয়েছে। প্রণোদনা দেওয়ার আগে বৈধপথে মাত্র ৪৯শতাংশ রেমিটেন্স দেশে আসতো। আমরা চেষ্টা করছি প্রবাসীরা যত টাকা আয় করে তার পুরোটাই বৈধপথে দেশে আনার। এতে আমাদের কাছে প্রবাসী আয়ের একটা হিসাব থাকবে।’

২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কীত চূড়ান্ত সুপারিশের প্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, নির্ধারিত তিনটি শর্ত পুরণ করায় জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছেন। সবশেষ ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। এতে আগামী ৫ বছর পর ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হবে।

এ উপলক্ষে আগামীকাল রোববার (০২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেবেন। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাবেন। শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।