‘আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি’

ফানাম নিউজ
  ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:০৮

বাংলাদেশ প্রগতিশীল ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেছেন, দেশে-বিদেশে এত সমালোচনা হয়, ফেসবুকে লেখালেখি হয়, কেউ কি বলেছে কোনও মানুষ না খেয়ে আছে? নেই। কারণ আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি। ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা ধনী রাষ্ট্র হবো, সেটা হবে ডলারের হিসাবে। সেটা আমরা অর্জন করবো।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এ সেমিনারের আয়োজন করে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন করছি। পরিসংখ্যান দিয়ে অনেক কিছু বলা যায়। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি। পরিসংখ্যানের বাইরে গিয়ে সবকিছুই নিজেরাই দেখতে পাচ্ছি। গার্মেন্টস শিল্পে উন্নয়ন আমাদের। কৃষিতেও আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার ক্ষেত্রেও পুরুষ-নারীর সমতা নিয়ে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, এখানে মুক্তি শব্দটা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটা কিন্তু অসম্পূর্ণ ছিল না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম” পুরো ভাষণটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এই ভাষণে তিনি স্বাধীনতা শব্দটি একবার ব্যবহার করেছেন। আর মুক্তি শব্দটা ব্যবহার করেছেন পাঁচ বার। কীসের মুক্তি?  মুক্তিটা ছিল শোষণ-মুক্তি, সামাজিক যে সমস্যাগুলো আছে তা থেকে মুক্তির কথা বলেছেন তিনি।’

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। আরও ছিলেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশ সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), বাংলা ইনসাইডারের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।