শিরোনাম
রেলের মূল ঠিকাদারদের হয়ে কাজ করছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। এতে কাজের মান ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসম্পন্ন কাজ না হলে তা হবে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অশনিসংকেত। এদিকে পাহাড় কেটে রেলের জন্য মাটি নেওয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
তথ্যমতে, চট্টগ্রামের দোহাজারি হতে রামু হয়ে কক্সবাজার রেল প্রকল্প। কয়েক দফা বাড়িয়ে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০২৩ এর জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণসহ নানান অজুহাতে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৪ এর জুন পর্যন্ত। মেয়াদ বাড়াতে সময়মতো ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়াসহ দেখানো হয়েছে নানা কারণ।তিনটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়া প্রকল্পটিতে স্থানীয় পর্যায়ে সাব-কন্টাক্টে কাজ করছে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড় ও জমির মাটি কেটে তা ফেলা হচ্ছে রেললাইনে। মূল দরপত্রের সঙ্গে সাব ঠিকাদারের দরদামের হেরফেরে কাজের আসল মান ঠিক থাকবে কি না, এমন প্রশ্নসহ অনেক প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিতে নারাজ প্রকল্পটির পরিচালক মফিজুর রহমান।
এদিকে পাহাড় ও জমি কাটার বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে ফোন ও ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও জবাব মেলেনি তার।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হকের মতে, উন্নয়নের দর্শনে ঘাটতি থাকলে ব্লেম গেম দিয়ে তা জায়েজ করা যায় না।
তিনি বলেন, উন্নয়নের দর্শনে ঘাটতি আছে। পরিকল্পনায় ঘাটতি রয়েছে। হাজার হাজার কোটি এবং বিলাসী প্রজেক্টগুলো নিয়ে জনগণকে নিরাপদ সেবা দেওয়া যাবে না, একটা রক্তক্ষরণের উন্নয়ন হয়ে যাবে।
এ ছাড়া সবাইকে ম্যানেজ করার ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়া বন্ধ করা, কোয়ালিটি কাজের নিশ্চয়তায় ব্যবস্থাপনার সমন্বয় খুব জরুরি বলেও মত এই দুই গণপরিবহন বিশেষজ্ঞের।
সূত্র: আরটিভি