শিরোনাম
ডিসি সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর। এই দিনক্ষণ সামনে রেখে ডিসি সম্মেলনের যাবতীয় কার্যক্রম গুছিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পর সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে কথা জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। আগামি মাসের প্রথম দিন সরকার প্রধান দেশে ফিরতে পারেন।
আগামী মধ্য নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এইএসসি পরীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এসব পরীক্ষা কার্যক্রম তদারকিতে ডিসিদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে।
তাই এ দুইটি পাবলিক পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে সরকার। সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
করোনা পরিস্থিতের কারণে এ ধরণের কোনো অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত হচ্ছেন না। তাই এবারের ডিসি সম্মেলন রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রী এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করতে পারেন।
প্রতি বছরের মাঝামাঝি, সাধারণত জুলাই মাসে ৬৪ জেলার ডিসিদের নিয়ে ঢাকায় এই সম্মেলন হয়। গত বছর করোনার কারণে সম্মেলন হয়নি।
গত জানুয়ারি মাসে ডিসি সম্মেলন হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে সেটিও বাতিল করা হয়। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কমতির দিকে থাকায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ডিসি সম্মেলনে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী-সচিবরা ডিসিদের সঙ্গে বিভিন্ন সেশনে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক পৃথক বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নৈশভোজের মাধ্যমে সম্মেলন সমাপ্তি ঘটে। তবে এবারের ডিসি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সরাসরি সাক্ষাৎ হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সবশেষ ২০১৯ সালে ডিসি সম্মেলন প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী হয়। ওই সম্মেলনে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডিসিরা।
তবে এবার তিন দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থাকায় আইন বিভাগের প্রধান ও বিচার বিভাগের প্রধানের সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানও অনিশ্চিত বলে জানা গেছে।