শিরোনাম
করোনা পরিস্থিতিতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) এবং ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপনে থার্টিফার্স্ট নাইট আয়োজন সীমিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র: আরটিভি
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে নির্দেশনা-সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বা মহাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রতি বছর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘শুভ বড়দিন’ ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়। সেইসঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষেও বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অতিমারি করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদযাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত আকারে উদযাপন করা হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
এমতাবস্থায় অন্যান্য বছরের মতো ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরের ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।