শিরোনাম
লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মেজর জিয়া ও আকরামকে ধরতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এ পদক্ষেপ অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করবে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) হোটেল রেডিসনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা বিষয়ক এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এইভাবে পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে। আমি যতদূর শুনেছিলাম, ওসামা বিন লাদেনের খোঁজও তারা পুরস্কার ঘোষণার মাধ্যমেই পেয়েছিলো। আমাদেরও তো বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ধরিয়ে দিতে পারলে বা খোঁজ দিতে পারলে পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া আছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। আমি কেইসটা পুরোপুরি ফলো করিনি। শুনেছি দু’জনের শাস্তি হয়েছে। দুইজন পলাতক আছে। তবে তারা কোথায় কোন দেশে আছে আমরা জানি না। আমেরিকার পুরষ্কার ঘোষণা তাদের ধরার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। ওদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, জাজমেন্ট হয়েছে; তারপরও ওরা পালিয়ে গেছে। এখনও যদি পুরস্কার ঘোষণার কারণে তাদের ধরা সম্ভব হয়, আমরা এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।
এ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চাকিরচ্যুত পলাতক আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে ‘মেজর জিয়া’ এবং আকরাম হোসেনের তথ্য দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর।
সোমবার তাদের ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণাসহ একটি পোস্টার প্রকাশ করেছে মার্কিণ স্টেট ডিপার্টম্যান্ট। পরে এই পোস্টারটি সোমবার রাত ৮টার দিকে টুইটারে পোস্ট করে ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস’ নামে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত একটি অ্যাকাউন্ট।
পোস্টারে বলা হয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনও তথ্য থাকলে, পোষ্টারে দেয়া নাম্বারে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠান। ফোন নম্বরটি হলো: +1-202-702-7843 এবং @RFJ_USA নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেলও দেওয়া হয়েছে। এই নাম্বারে তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কৃত করা হবে।
পোস্টারের শিরোনামে বলা হয়, বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তথ্যের জন্য ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
পোস্টারের নিচে বাঁদিকের কোনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নাম ও প্রতীক, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস ও রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিসের নাম রয়েছে।