শিরোনাম
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে (সাধারণ) সরকারি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২১’ লাভ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সিটিজেন এনগেইজমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম (সবার ঢাকা অ্যাপস) উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আনুষ্ঠানে ডিএনসিসিকে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি উদ্যান ও আবক্ষ উদ্ভোধনের জন্য মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বর্তমানে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অবস্থানের কারণে তার পক্ষ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এছাড়া করোনাকালে ডিজিটাল গরুর হাট চালুর জন্য ডিএনসিসি আরও একটি পুরস্কার পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি জানায়, জনগণের হাতের মুঠোয় নাগরিক সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশনায় ডিএনসিসি চালু করে সিটিজেন এনগেইজমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম (সবার ঢাকা অ্যাপস)। এই অ্যাপটির মাধ্যমে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার নাগরিকরা তাদের এলাকার রাস্তা, মশা, সড়ক, বাড়ি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা— এই আটটি বিষয়ে সমস্যার কথা সরাসরি সিটি করপোরেশনের কাছে তুলে ধরতে পারেন। সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে তাদের পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।
নাগরিকরা ঘটনাস্থল থেকে মোবাইলে ছবি তুলে ডিএনসিসিতে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপটি তার লোকেশন ট্র্যাক করে ডিএনসিসির ওয়ার্ড এবং অঞ্চল নির্ধারণ করে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়। ডিএনসিসি কর্মকর্তারা তাদের ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে সমস্যাগুলো যাচাই-বাছাই করে সমাধানের পদক্ষেপ নেন। সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তাদের গৃহীত প্রত্যেকটি পদক্ষেপের আপডেট অ্যাপ ব্যবহারকারী নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন এবং সমাধান কাউন্টার থেকে দেখতে পারেন।
উদ্যোগটি চালু করার ফলে ডিএনসিসির সঙ্গেহ নাগরিকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত হয়েছেন। অদ্যাবধি প্রায় ৩০ হাজার নাগরিক রেজিস্ট্রেশন করে সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১১ হাজার ৩৬টি সমস্যা ডিএনসিসিকে জানিয়েছেন। এর মধ্যে ডিএনসিসি ৯ দশমিক ৮৭৬টি সমস্যার সমাধান করেছে। অর্থাৎ, সমাধানের হার শতকরা ৯০ শতাংশ। বাকি ১ দশমিক ১৬০টি সমস্যা প্রক্রিয়াধীন আছে।
প্রযুক্তির ব্যবহারে নাগরিকদের সঙ্গে এই নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের ফলে ডিএনসিসির দ্রুত ও সময় উপযোগী সেবা হয়েছে। অর্থাৎ নাগরিক সেবার মানের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে মনে করছে ডিএনসিসি।
এ বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই পুরস্কার আমি নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম। আমি বিশ্বাস করি, ইচ্ছা থাকলে যেকোনও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাগরিক সেবা মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা এই অ্যাপটি চালু করি। এরইমধ্যে নাগরিকরা তাদের যেকোনও সমস্যার সমাধান এখান থেকেই পাচ্ছেন। এই অ্যাপে অভিযোগ করে তারা সমাধান নিচ্ছেন। আমাকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন