শিরোনাম
সদ্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী ব্যক্তি হলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সূত্র: আরটিভি
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে ‘জিডি’ হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে সাইবার অপরাধ বিভাগ। প্রতিবেদন আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) মুরাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় করা অভিযোগে বলা হয়েছে, আমি জুলিয়াস সিজার তালুকদার (২৫) এনআইডি নম্বর ৫৫৫২৬৬৬০৮২, পিতা- মরহুম মুক্তাদির তালুকদার, মাতা- মোছা. হামিদা খাতুন, সাং-গোলাবাড়ী, থানা- গোপালপুর, জেলা-টাঙ্গাইল, এ-পি-সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, রুম নম্বর-২৬, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থানা-শাহবাগ, ঢাকা আপনার থানায় হাজির হইয়া বিবাদী সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান কর্তৃক Nahidrains Pictures নামক ফেসবুক পেইজে উসকানিমূলক বক্তব্য একটি লাইভ অনুষ্ঠানে গত ৫ ডিসেম্বর বিকালে শাহবাগ থানাধীন সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৬ নম্বর রুমে বসে একটি বিকৃত যৌনচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ভিডিও ক্লিপ দেখতে পাই। যাতে সে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্রাব করার সময় ও আমার নাই।’ এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে দেশের সর্ব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে বলে ‘তারা রাতে নিজের হলে অবস্থান না করে বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলে গিয়ে রাত্রি যাপন করে।’ এই বাক্য দ্বারা সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদেরকে চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছে। আমরা মনে করি, যেকোনো বিদ্যাপীঠ সমূহের প্রতি তীব্র অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘৃণার রাজনীতি করার অপপ্রয়াস দেখিয়েছেন। অন্যদিকে নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মূলক বক্তব্য দিয়ে তাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে নারীর রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংগ্রহণের বিরোধিতা প্রকাশ করেন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আপামর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নাগরিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধবিরোধী এই ন্যাক্কারজনক বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে শ্লীলতাহানিসহ কুরুচি পূর্ণ ভাষায় কথা বলে এবং সামাজিকভাবে মানক্ষুন্ন করেছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় আমার সিনিয়র ও জুনিয়র সহপাঠিদের সাথে আলোচনা করিয়া অত্র অভিযোগ দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইল।
অতএব, উপরোক্ত বিষয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়।