শিরোনাম
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম কমানো, আসন সংকট নিরসন ও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। সম্প্রতি নয়াপল্টনে স্থানীয় একটি হোটেলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
আটাবের সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণকারীদের অধিকাংশ প্রবাসী কর্মী, যারা আমাদের দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এ শ্রেণির যাত্রীদের কষ্টে অর্জিত অর্থ আমাদের অর্থনীতিকে চাঙা করে রাখছে। এর ফলে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে এয়ারলাইন্সগুলো প্রতিযোগিতা-মূলকভাবে টিকিটের খঋগ অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। যার কারণে প্রবাসী যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
তিনি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের রুটে যাত্রীদের নভেম্বর-২০২১ পর্যন্ত টিকিটের মূল্য ছিল ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি হয়ে তা হয়েছে ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। সৌদি আরব পথে আগে ভাড়া ছিল ৪২ হাজার টাকা, বর্তমানে ৭৫ হাজার টাকা। এ অতিরিক্ত ভাড়া বহন করে কর্মস্থলে যাওয়া যাত্রীদের জন্য প্রায় অসম্ভব ও কষ্টসাধ্য।
আটাব বলছে, সম্প্রতি সৌদি সরকারের তরফে বাংলাদেশিদের জন্য চাকরি ভিসার কোটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি যাত্রীদের অনুকূলে ভিজিট ভিসা ও কর্মসংস্থান ভিসা অধিক হারে ইস্যু হচ্ছে বলে আটাব জানতে পেরেছে। ভিসা সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আসন চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো অস্বাভাবিক হারে ভাড়া বৃদ্ধি করছে। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যগামী
যাত্রীরা অসহায় অবস্থায় পড়েছে। টিকিটের মূল্য কমানো না হলে প্রবাসগামীদের ব্যয় বাড়বে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা জরুরি। তাতে আসন সংখ্যা বাড়বে, টিকিটের মূল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের ১৫-২০ শতাংশ বহন করে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।