শিরোনাম
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ২৫১ জনে। এই সংখ্যা ১১৭ দিনে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৭ মে ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসাবে তিন মাস ২৪ দিন পর সবচেয়ে কম মৃত্যু হলো।
২৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও নারী ১৫ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৩ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৫৫ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮১০টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৮০০টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৭ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৫৬৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ তিন হাজার ১০৬ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন ও আশি-ঊর্ধ্ব চারজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, খুলনায় দুইজন, বরিশালে একজন, সিলেটে একজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।