পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার হার ৫০ শতাংশ

ফানাম নিউজ
  ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:০৩

পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার হার আগের তুলনায় বেড়েছে, বর্তমানে সেখানে শিক্ষার হার প্রায় ৫০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পার্বত্য ট্টগ্রামের শিক্ষার হার কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে শিক্ষার হার অনেক কম ছিলো। এখন ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। আমরা শিক্ষাখাতে এগিয়ে যাচ্ছি। সেখানে স্কুল কলেজ ছিলো না। সেখেনে প্রধানমন্ত্রী অনেক স্কুল কলেজ করেছেন।

তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ করা হয়েছে, মেডিকেল কলেজও করা হয়েছে। প্রায় উপজেলায় টেকনিকাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ করা হয়েছে। এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। আগের শিক্ষার হারে সরকারগুলো গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার হার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমাদের গ্রামগুলো অনেক দূরে পাহাড়ে পাহাড়ে। আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা হলে তাদের কষ্ট কম হবে, এতে শিক্ষার হারও বাড়বে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে, সন্তু লারমার এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি তার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতেই পারেন। সারাবিশ্বে এমন কোনো জায়গা আছে যেখানে সমস্যা থাকে না? সেখানে কোনো কারণে যদি কোনো ঘটনা ঘটেই যায় সরকার তাৎক্ষণিকভাবে সেটি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে সে এলাকার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার সবসময় তৎপর থাকে। কোনো ঘটনা ঘটলে শান্তা ফিরিয়ে আনতে সরকার তৎপর।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির আগে এবং আজকের পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ পরিস্থিতি আকাশ পাতাল তফাৎ। আজকে সেখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যতদ্রুত আমরা সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারি ততো আমাদের জন্য কল্যাণকর। সবাইকে আহ্বান করব যারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে ছিলেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

সংঘর্ষ, সংঘাত বাদ দিয়ে ভ্রতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে সুন্দর পরিবেশ তৈরির যে আস্থা করেছিলাম সেটি আরও দৃঢ়ভাবে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা হবে না। পার্বত্য অঞ্চল হবে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদশালী। সব ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে সমৃদ্ধশালী দেশের স্বপ্ন দেখেন সেটি বাস্তবায়নের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী করবে।

সূত্র: জাগো নিউজ