শিরোনাম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল এমপি বলেছেন, মৎস্য সম্পদ যাতে সমৃদ্ধ হয়, মৎস্য আহরণে যেন কোন বাধা না থাকে, সে জন্য যারা সমুদ্রে যাবেন, তাদের আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের কী কী সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায়, সে বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। বাংলাদেশের কোন জলাশয় অব্যবহৃত থাকবে না।
কলাপাড়ার মহিপুর ও আলীপুরে নির্মিত দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি একথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের অর্থায়নে প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এ দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, জেলেদের জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে। যাতে মৎস্যজীবীরা মৎস্য আহরণ করেন ও বিপণন করেন। এটার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের কোন প্রকার সমস্যা না থাকে, সে জন্য যা কিছু দরকার সরকারের পক্ষ থেকে তা আমরা করবো।
তিনি আরো বলেন, ভারতের যে প্রান্তের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রান্ত সংযুক্ত রয়েছে, আমরা একই সময় যাতে মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখতে পারি, সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এ সমস্যা আর থাকছে না।
এর আগে বাংলাদেশ উপকূলে সীউইড চাষ এবং সীউইড জাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কলাপাড়ায় ইন্সটিটিউটের নদী উপকেন্দ্রে অফিস কাম গবেষণাগারের জন্য নির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট ভবন উদ্বোধন করেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন। দেশের যে প্রান্তেই ইলিশ বাড়ানো যায় কিংবা বাচ্চা দিতে পারে, সে সকল বিষয়কে আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। আমাদের টার্গেটটা হচ্ছে বাংলাদেশের কোন জলাশয় অব্যবহৃত থাকবে না। যেখানে যে প্রকৃতির মাছ উৎপাদন করা যায়, আমরা তার উৎপাদনে সকল সহায়তা করব। আন্ধারমানিক নদীসহ যেসব নদীতে আগে ইলিশ ছিল, এখন নেই, কেন নেই তা আমরা গবেষণা করছি। কোন কোন জায়গায় নদীর পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে, গভীরতা কমে যাওয়া, সেসব রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইলিশ যেখানে ডিম ছাড়ে সেই সময় বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা, নানা প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে ইলিশ তার স্থান পরিবর্তন করে। যেখানে ইলিশ একসময় ছিল সেখানেই আবার যাতে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো যায়, তার ব্যাপক পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করি অতীতের মতো এই অঞ্চলে আবার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফডিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ, সচিব মুহাম্মদ হরুন-অর-রশীদ, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রকল্প পরিচালক জামাল হোসেন মজুমদার, বিএফডিসির পরিচালক (অর্থ) মঞ্জুর হাসান ভুইয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী প্রমুখ।