ওমিক্রন প্রতিরোধে আন্তমন্ত্রণালয় সভা

ফানাম নিউজ
  ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৩:০২

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) ওমিক্রনের সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা শুরু হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সভা আহ্বান করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এতে সভাপতিত্ব করছেন। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন।

গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওমিক্রনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা ‘উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট’ ঘোষণা করে। গতকাল সংস্থাটি জানায়, করোনার এই নতুন ধরনটি বিশ্বের জন্য অতি উচ্চঝুঁকিপূর্ণ।

বাংলাদেশে ওমিক্রনের সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতোমধ্যে ১৫টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এগুলো হলো— দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং বিভিন্ন সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদারকরণ; সবধরনের (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিতকরণ; বাড়ির বাইরে সবসময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিতকরণ; রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম করা প্রভৃতি।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সবধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে; মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিতকরণ; গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ; আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ; সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ; সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা; করোনা উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত করোনা রোগীর আইসোলেশন ও কোভিড পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; কোভিড-১৯ এর লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়; অফিসে প্রবেশ ও অবস্থানকালে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিতকরণ এবং কোভিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করতে কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য প্রচারণা চালানো যেতে পারে উল্লেখ করা হয় নির্দেশনায়।