শিরোনাম
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে তিনবার রক্তক্ষরণ হয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়। মেডিকেল বোর্ড দ্রুত খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করে বলেছে, তাঁর এই চিকিৎসা শুধু বিশ্বের তিনটি দেশেই সম্ভব। এখনই চিকিৎসা দিতে না পারলে খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘লাইফ থ্রেটেনিং’।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকীসহ উপস্থিত ছিলেন এ কে এম মহসিন, সামসুল আরেফিন, নূর উদ্দিন আল মামুন এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিস্থিতি তুলে ধরেন ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস হয়েছে। তাঁর এ পর্যন্ত তিন দফায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। তৃতীয়বার রক্তক্ষরণ অনেক বেশি ছিল। লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী ও আরেফিন সিদ্দিকী বিস্তারিত জানান। তাঁদের ভাষ্য, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস হয়েছে। তাঁর এ পর্যন্ত তিন দফায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। তৃতীয়বার রক্তক্ষরণ অনেক বেশি ছিল। লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে আজ রক্তক্ষরণ হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, ভবিষ্যতে খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৭০ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, খালেদা জিয়ার লিভারে পরিপাকীয় চাপ কমাতে বাইপাস প্রক্রিয়া সঞ্চালন নালি তৈরি করতে হবে। এটি টিপস (টিআইপিএস—ট্রানজুগুলার ইন্ট্রাহিপারটিপ পোর্টো সিস্টেমিকশন) পদ্ধতিতে করা হয়, যে প্রযুক্তি শুধু যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রেই সম্ভব। দ্রুত এই সঞ্চালন নালি করা না গেলে খালেদা জিয়ার লিভারে রক্তক্ষরণঝুঁকি এক সপ্তাহে ৫০ ভাগ বাড়বে, পরবর্তী ৬ সপ্তাহে সেই ঝুঁকি বাড়বে ৭০ শতাংশ। এরপর চিকিৎসকদের আওতায় না-ও থাকতে পারে। মেডিকেল বোর্ড জানায়, এখন যেহেতু রক্তক্ষরণ বন্ধ আছে, তাই এখনই বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে হবে। নয়তো পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া জটিল হয়ে যাবে।
সূত্র: প্রথম আলো