শিরোনাম
রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বাস থেকে ফেলে মরিয়ম আক্তার নামে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় রাইদা পরিবহনের গাড়িচালক মো. রাজু মিয়া ও তার সহকারী ইমরান হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হাসান পারভেজ তাদের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত আসামি রাজু মিয়ার এবং আরেক মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত আসামি ইমরান হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে র্যাব গত ১৩ নভেম্বর রাতে টঙ্গী থেকে রাইদা পরিবহনের ওই বাসের চালক রাজু মিয়াকে (২৫) এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে চালকের সহকারী ইমরান হোসেনকে (৩৩) গ্রেফতার করে। পরদিন দুই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ভাটারা থানার দায়ের হওয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মরিয়ম আক্তার ফুল বিক্রি করতো এবং হাতে সহায়তার আবেদন সংবলিত কাগজ নিয়ে পথচারী ও বাসযাত্রীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতো। খিলক্ষেত থানার কুড়াতলী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো শিশুটি।
গত ৯ নভেম্বর ভোরে বাসা থেকে বের হয় মরিয়ম। এরপর প্রগতি সরণিতে ফুটপাতে ময়লার স্তূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য পেয়ে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেন তার বাবা প্রাইভেটকারচালক রনি মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভাটারার প্রগতি সরণিতে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ওঠে মরিয়ম। বাসচালকের সহকারী তাকে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন। চালক বাসের গতি না কমিয়ে মরিয়মকে নামিয়ে দেন। এসময় ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় শিশু মরিয়ম। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ