শিরোনাম
মিরপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল কমে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস না পেয়ে অনেকে হেঁটে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে যাচ্ছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর-১, ১০, ১১, ১২, কালশি, পূরবী, সিরামিক রোডে যাত্রীবাহী বাস কম। রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে হেঁটে যাচ্ছেন শতশত মানুষ। তবে মিরপুর ১২ নম্বরের প্রধান সড়কে বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে। একইভাবে উত্তরা এবং গুলশান থেকেও মিরপুরগামী বাস চলাচল কমে গেছে।
গুলশান থেকে মিরপুর ১০ নম্বরে যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আমিনুল ইসলাম। দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাননি। আলাপকালে তিনি বলেন, অন্যান্য দিন কিছুক্ষণ পরপরই মিরপুরের বাস পেতাম। কিন্তু আজ বাসের দেখা নেই। শুনেছি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে মিরপুরগামী বাস কমে গেছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন হয়রানি বন্ধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়া উচিৎ।
যাত্রীদের এমন হয়রানির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলেন ডেকেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সরকার বাসভাড়া বাড়িয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন তারা। এর সঙ্গে যাত্রী হয়রানিও বেড়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, পল্লবী এলাকায় বাস চলছে। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে গাড়ির সংখ্যা কম।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গত ৭ নভেম্বর বাস ভাড়া বাড়িয়েছে বিআরটিএ। কিন্তু নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করছিলেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এছাড়া সিটিং সার্ভিস এবং গেটলকের নামে যাত্রীদের হয়রানি আরও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে বিআরটিএ। আজও আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: জাগো নিউজ