শিরোনাম
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজে ৯ হাজার কোটি টাকার অবৈধ ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্তবিভাগ (সিআইডি)। রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্যউপাত্তের জেরে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেশন অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। সূত্র: আরটিভি
দারাজের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে সিআইডি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এছাড়া দারাজের ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রির আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা।
দারাজে বিক্রি হওয়া ভার্চুয়াল পণ্যের মধ্যে রয়েছে- নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজনসহ বিভিন্ন চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন, সফটয়ারের অ্যাক্টিভিশন এবং সাবস্ক্রিপশন, বিদেশি ই-কমার্সের গিফট কার্ড, বিভিন্ন গেমস ও তার ডেভেলপমেন্ট টুলস, গুগল প্লে-স্টোর এবং অ্যাপস স্টোরের গিফট কার্ড।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি ব্যাংকের ভার্চুয়াল কার্ড, ফিক্সড কার্ড এবং রিচার্জেবল কার্ড বিক্রি করে। যা দেশে বিক্রির অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দারাজের কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রির কথা স্বীকার করলেও, অর্থ পাচারের কথা অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে সিআইডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অর্থ পাচার, কর ফাঁকি এবং অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রির অভিযোগে দারাজের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করা হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল পণ্যের বাজার ছিল ১০ হাজার কোটি টাকার। যার বেশিরভাগই অবৈধ। ফলে ভার্চুয়াল পণ্য কিনতে সহজেই বিদেশে টাকা পাচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভার্চুয়াল পণ্যের ৯০ ভাগই দারাজের। বাকি ১০ ভাগ বিক্রি হয় এফ-কমার্স বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অবৈধভাবে ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রি করায় এ থেকে বছরে ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সিআইডি বলেছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ভার্চুয়াল কার্ড বিক্রির বেশিরভাগ অর্থ বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তা মার্কিন ডলার বা ইউরোতে রূপান্তরিত করে। পরে তা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়ে থাকে। এতে বিদেশে পাচার হচ্ছে দেশের টাকা।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে ১১/১১ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করায় দারাজকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে।