আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর

ফানাম নিউজ
  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৮:১৭

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সূত্র: আরটিভি

রোববার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

আজ এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় মোট ২৫ আসামির মধ্যে ২৪ জনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী রোববার আসামি মুজাহিদুর রহমানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার নির্দেশ দেন আদালত।

গ্রেফতার হওয়া ২২ আসামি হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার পলাতক তিন আসামি হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।

গত ২৪ অক্টোবর প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। তিনি ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন। এরপর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার নথিতে তথ্যগত ভুল থাকায় গত ৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ পুনর্গঠন করেন আদালত।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেক জনকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।