শিরোনাম
(১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ঔপন্যাসিক, নির্মাতা, নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যার হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছে অনবদ্য চরিত্র হিমু, মিসির আলি, রূপা, শুভ্রদের মতো তুমুল জনপ্রিয় অদৃশ্য চরিত্র।
হুমায়ূন আহমেদ তার কীর্তি রেখেছেন শিল্প-সাহিত্যের বেশিরভাগ শাখাতেই। একাধারে তিনি সাহিত্য দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ রেখেছেন বাংলার মানুষকে, অন্যদিকে নির্মাণ করেছেন অনন্য সব নাটক, চলচ্চিত্র ও গান। তার হাত ধরেই তারকার সম্মান পেয়েছেন এ দেশের অনেক শিল্পী।
তার নির্মাণে উঠে এসেছে নৈসর্গিক দৃশ্য, জোছনা, বৃষ্টিসহ বাংলার অসামান্য সব ব্যঞ্জনা। তরুণ প্রজন্মকে ভিন্নভাবে প্রকৃতি চিনিয়েছেন এই দার্শনিক লেখক। বাংলা সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র ও গান পালাবদলের এ কারিগর ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়ে নিজের জানান দেন। এরপর তিন শতাধিক গ্রন্থ লিখেছেন তিনি।
সুরসিক এই কিংবদন্তির লেখক এতটাই জনপ্রিয়, তার বইয়ের উৎসর্গপত্রটাও ছিল মুগ্ধতা নিয়ে পড়ার মতো। পরিচিতরা তো বটেই, অচেনা পাঠকের নামেও তিনি বই উৎসর্গ করেছেন অনেক। এই উৎসর্গের তালিকা দীর্ঘ। যে তালিকায় বাবা-মা-স্ত্রী-সন্তান থেকে শুরু করে গাছের নামও আছে। আবার বই লেখা শেষে উৎসর্গের জন্য মনের মতো কাউকে না পেলে উৎসর্গপত্রে সে কথাটিও তিনি লিখে গেছেন অবলীলায়।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।