শিরোনাম
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে করোনার এই বড়ি অনুমোদন পেল দেশে।
মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। বেক্সিমকোর পর এসকেএফ ফার্মা ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে এই ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের বাজার পাওয়া যাচ্ছে এই ওষুধ। নতুন করে দুটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সক্ষমতা যাচাই করে আবেদন করা বাকি কোম্পানিগুলোকেও অনুমোদন দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠান দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরের দেশে রপ্তানিও করতে পারবে। দেশের বাজারে ওষুধটির জেনেরিক সংস্করণের নাম হবে 'এমোরিভির'।
ঔষধ অধিদপ্তরের ডিজি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনার এই ওষুধ উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরাও ল্যাবে পরীক্ষা করেছি। আশা করা হচ্ছে, ওষুধটি মৃত্যু ঠেকাতে ও হাসপাতালে ভর্তি অর্ধেক কমাবে। তবে ওষুধটি ব্যবহারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
করোনা আক্রান্ত রোগীকে এই ক্যাপসুলটি দিনে ৮টি করে মোট ৫ দিন খেতে হবে জানিয়ে এর প্রতিটির দাম কত পড়বে তা-ও বলে দেন ডিজি। তিনি বলেন, ২০০ মিলিগ্রামের প্রতিটির ক্যাপসুলের দাম ৫০ টাকা করে পড়বে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে। ১৮ বছরের বেশি যে কোনো ব্যক্তি এটি সেবন করতে পারবেন। তবে কোনো ওষুধই টিকার বিকল্প নয় বলেও উল্লেখ করেন মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র আরও জানায়, মলনুপিরাভির উৎপাদনে অন্তত ১০টি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো অনুমোদন পেয়েছে। আজ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পাওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস চিকিৎসায় টিকা ছাড়া এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকের তৈরি করোনার চিকিৎসায় মুখের খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির চালানো ট্রায়ালে এই ওষুধ সেবনে করোনায় মৃত্যু হার কমবে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ওষুধটির ওপর পরীক্ষা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ১৭টি দেশে। চার দিন আগে বৃটেন সরকার এ ওষুধের অনুমোদন দেয়।