শিরোনাম
সময় বাঁচাতে ও নিরাপদে ভ্রমণের জন্য মানুষের প্রথম পছন্দ আকাশপথ। ধীরে ধীরে আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আকাশপথে যাত্রা। সূত্র: বাংলানিউজ
তবে চাহিদার তুলনায় দেশের ভেতরে চলচলের জন্য পর্যাপ্ত এয়ারলাইনস ও উড়োজাহাজ নেই। ফলে সাধ থাকলেও সবার সাধ্য হয় না, নিয়মিত প্লেনে যাওয়া আসা করা। তবে এই অবস্থার পরিবর্ত আসতে শুরু করেছে, দেশে যোগাযোগ আরও সহজ ও আরামদায়ক করতে বাজারে আসছে নতুন নতুন এয়ারলাইনস।
আশা করা হচ্ছে ২০২২ সালের শুরুতেই দেশের আকাশে পাখা মেলতে পারে ফ্লাই ঢাকা ও এয়ার অ্যাসট্রা নামে আরও দুটি নতুন বেসরকারি এয়ারলাইনস।
নতুন দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স এলে দেশে এয়ারলাইন্স কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়াবে পাঁচে। এতে আকাশ পথে প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এয়ার অ্যাসট্রা ও ফ্লাই ঢাকা এরই মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনাপত্তিপত্র হাতে পেয়েছে। ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি থেকেই ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চারটি এটিআর-৭২ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে এয়ার অ্যাসট্রা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন নতুন এয়ারলাইনস আসায় অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও ভালো হবে। যাত্রীরা আরও কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ আকাশপথে ভ্রমণ করেন, নতুন উড়োজাহাজগুলো যুক্ত হলে ২৫ লাখের বেশি যাত্রী আকাশপথে ভ্রমণ করতে পারবেন দেশের ভেতরে।
ফ্লাই ঢাকার মূল মালিকানায় রয়েছেন সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিনিয়োগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিতে।
এদিকে, এয়ার অ্যাসট্রার মালিকানায় রয়েছেন এক জাপান প্রবাসী ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বেবিচকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এয়ারলাইনসের ফ্লাইট শুরুর পর প্রথম এক বছর আবশ্যিকভাবে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক বছর পর আন্তর্জাতিক গন্তব্যে উড়ালের অনুমতি চাইতে পারে এয়ারলাইনসগুলো।
দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়াও ফ্লাইটে রয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলা ও নভো এয়ার।