শিরোনাম
কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর লঞ্চের ভাড়া পুননির্ধারণে রোববার লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এই সময় পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া নিতে বলা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সূত্র: আরটিভি
তিনি বলেন, ‘পূর্বের ভাড়ায় আজকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর ভাড়া বাড়ানো বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।’
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানান নৌযান মালিকরা। দাবি পূরণ না হলে বাসমালিকদের পথে হাঁটার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তারা দাবি জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা এবং স্টিল ও অন্যান্য পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। লঞ্চ ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম ১ লাফে ১৫ টাকা বা ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালেই পণ্যবাহী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন ধর্মঘটে যাওয়ার ডাক দেয়। জেলায় জেলায় বাস না চালানোর ঘোষণাও দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে বাসমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি বিআরটিএ’র কাছে ভাড়া যৌক্তিক হারে বাড়াতে আবেদন করে। সে আবেদনে লেখা ছিল, জেলায় জেলায় বাসমালিকরা বলছেন, বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করলে তাদের লোকসান হবে। তাই তারা বাস চালাবেন না।