প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মিছিল বৃহস্পতিবার

ফানাম নিউজ
  ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৪৯

ঢাকায় শ্রম ভবনের সামনে নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং ইয়ং লিমিটেডের শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল করে স্মারকলিপি দেবেন তারা। 

বুধবার (৩ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ বিকাল ৪টায় আবারও বিক্ষোভ মিছিল বের হয় তাদের।

গার্মেন্টস শ্রমিক প্রতিনিধিরা বলেন, ‘অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছি আমরা। আমাদের লাগাতার অবস্থান ও আন্দোলন চলবে। আমরা প্রয়োজনে দেশের শ্রমিকদের পক্ষে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে নিয়ে এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে স্টাইলক্রাফট লিমিটেড এবং ইয়ং লিমিটেড কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও ঈদ বোনাস না দিয়ে বঞ্চিত করেছে। তাদের ছয় মাসের এবং কর্মচারীদের নয় মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাই কারখানা দুটির ৪ হাজার ২৪৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।

পোশাক শ্রমিকদের দাবি, ‘গত মাস (অক্টোবর) পর্যন্ত গাজীপুরে স্টাইলক্রাফট লিমিটেড এবং ইয়ং লিমিটেডের সম্মুখে আন্দোলন করেছেন তারা। এর ফলে সংকট সমাধানের জন্য কখনও লিখিত এবং কখনও মৌখিকভাবে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশ, শিল্প পুলিশসহ মালিকরা চুক্তি করে। কিন্তু তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। নিরুপায় হয়ে আমরা গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করি। এরপর গত ৭ আগস্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিএমইএ’র সভাপতি এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছিল। সেই অনুযায়ী গত ২৫ আগস্ট বকেয়া বেতন এবং একটি ঈদ বোনাস পরিশোধ করে কারখানা চালু করার কথা ছিল। সর্বোচ্চ পর্যায়ের চুক্তির প্রতি আমরাও আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু মালিকরা সেই চুক্তির কোনও তোয়াক্কা করেনি।’

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন শ্রমিকরা। এগুলো হলো– চুক্তিটি বাস্তবায়ন ও বারবার চুক্তিভঙ্গ করায় মালিক ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং প্রয়োজনে কারখানা দুটির সব সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে ছয় মাসের বকেয়া বেতনসহ সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া।

শ্রমিক-কর্মচারীদের মন্তব্য, ‘কতিপয় মালিকদের দায়িত্বহীনতার কারণে গার্মেন্টস শিল্পের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি এবং এ কারণে জাতীয় অর্থনীতির ক্ষতি হলে সেই দায়দায়িত্ব কারখানা মালিক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং সরকারকে নিতে হবে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন