শিরোনাম
মাদক ব্যবসায়ীদের কাজে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সোর্স আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিন দিন আগে রামপুরা থানার বৌবাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হন পুলিশের সোর্স আলমগীর।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রোববার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে রিমন ওরফে লিমন এবং মহিউদ্দিন শিবলু নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে ডিবি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার রিফাত রহমান শামীমের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের তত্বাবধানে খিলগাঁও জোনাল টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, গত ২৯ নভেম্বর রাত আটটার দিকে রামপুরা থানার বৌবাজার এলাকার আদর্শ গলির সামনে বরফ গলিতে ফয়সালের বিকাশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন আলমগীর। তখন রিমন ও মহিউদ্দিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পেছন থেকে আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করে।
আহত অবস্থায় বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় শেরেবাংলানগর জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আলমগীরের বাবা বাদি হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন।
ডিবি কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবিও ছায়া তদন্ত করছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত মাদক কারবারি রিমন ওরফে লিমন তার সহযোগী মহিউদ্দিন শিবলুকে গ্রেফতার করা হয়। রিমন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাদক কারবারে বাধা দেয়ায় আলমগীরকে হত্যা করা হয়।
এর আগেও আলমগীরের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল। যে কারণে আলমগীরের প্রতি তাদের ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তারা আলমগীরকে হত্যা করে। গ্রেফতার রিমনের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে।
মাহবুব আলম বলেন, মহিউদ্দিন শিবলু মোবাইল ফোনে ডেকে এনেছিল আলমগীরকে। তাদের দেয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার রিমন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি রাজিবের সঙ্গে কাজ করতো। রাজিব এর আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
সূত্র: যুগান্তর