শিরোনাম
পশ্চিমা অর্থপুষ্ট এনজিওরা শিল্প পুলিশ না করতে দেওয়ায় খুবই তৎপর ছিল এবং তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ।
গতকাল শিল্প পুলিশের ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর কার্যালয়ে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'এতদিন আমরা বিশাল একটা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করছিলাম। বিশেষ করে বিদেশি অর্থে লালিত এনজিওরা একটা বিশাল ভ্যাজাল লাগানোর চেষ্টা করছিল। পশ্চিমা অর্থপুষ্ট এনজিওরা খুবই তৎপর ছিল এবং তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র করেছিল। যাতে করে এখানে শিল্প পুলিশ না হয়। তিনি আরও বলেন, এক সময় আমাদের শ্রমিক ভাইরা মনে করতেন এটা একটা ঠাঙ্গানো বাহিনী বানানো হচ্ছে এবং এটা দিয়ে মনে হয় শ্রমিকদের ভাঙ্গানো হবে। বিষয়টা এখন আমি দেখি উল্টো। বরং শ্রমিকদের ত্রাণকর্তা হিসেবে শিল্প সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এখন এ পুলিশ আবির্ভূত হয়েছে।
আইজিপি বলেন, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সুসমন্বয় এবং শিল্পের বন্ধন তৈরি করার জন্য এখন শিল্প পুলিশ কাজ করছে। যখন মালিকের প্রয়োজন আর যখন শ্রমিকের প্রয়োজন প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুযায়ী শিল্প পুলিশ শিল্প সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। যার ফলে আজকে আমাদের এক্সপোর্ট ৩৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।'
দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে ড. বেনজির আহমেদ বলেন, 'দেশটা আমাদের। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এই অঞ্চলে ইকোনমিক পাওয়ার হাউজ হতে চাই। ইকোনমিক পাওয়ার হাউজ হতে হলে ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যেকের হাতে হাত রেখে ইস্পাত ঐক্য করতে হবে এবং সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'গাজীপুর আর আশুলিয়ার মধ্যে কিন্তু আমাদের শিল্পাঞ্চল সীমাবদ্ধ নেই। সব জায়গায় শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারণের জন্য এই শিল্প পুলিশের সম্প্রসারণ দরকার। কারণ আমরা ৩৮ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্টের মাধ্যমে আয় করছি। আর শিল্প পুলিশের জন্য বাজেট ১৩৬ কোটি টাকা। এতবড় যজ্ঞ প্রোটেকশন দিচ্ছি আমরা মাত্র ১৩৬ কোটি টাকা দিয়ে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ আমাদের ফোর্স, ইকুয়িপমেন্ট, লজিস্টিক বাড়ানো দরকার। আমাদের মাত্র ছয়টা ব্যাটেলিয়ন আছে। এর মধ্যে আবার ম্যান পাওয়ার ঠিক নাই। কোনো ব্যাটেলিয়নে সাড়ে ৭০০ লোক, কোনোটায় সাড়ে ৩০০। এটারও একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত।'
প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্নুজান সুফিয়ান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ।
সূত্র: মানবজমিন