৩২৬ দস্যুর পুনর্বাসনের উদ্যোগ, রামপালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৪

সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় দস্যুবৃত্তি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তাঁদের বসত ঘর, দোকান, নৌকা, জাল, ট্রলার ও গবাদিপশু দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ রোববার সকালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে এসব উপকরণ তুলে দেবেন।

অনুষ্ঠানে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

এক সময় সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে-বাওয়ালিদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন এই দস্যুরা। সাগর ও সুন্দরবনে দাপিয়ে বেড়ানো ৩২৬ দস্যু এখন আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো সমাজে বসবাস করছেন। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় অস্ত্র জমা দিয়ে র‍্যাবের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। আত্মসমর্পণের পর থেকে সরকার ও র‍্যাবের পক্ষ থেকে তাঁদের বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে। এবার এই দস্যুদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ৩২৬ জন দস্যুর মধ্যে প্রয়োজনের ভিত্তিতে ১০২টি বসতঘর, ৯০টি দোকান ঘর, প্রয়োজনীয় জালসহ ১২টি নৌকা,৮টি ট্রলার ও ৮৮ গবাদিপশু।

স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা দস্যু আব্দুল বারেক তালুকদার শান্ত, মো. রিপন ও মাওলা ফকির বলেন, আমরা খুবই খুশি হয়েছি। গরু ছাগল পালন করে আয় করা যাবে। সাধারণ মানুষের মতো সৎ পথে থেকে আমরা উপার্জনও করতে পারব, সংসারের খরচ চালাতে পারবে।

এ ব্যাপারে র‍্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, আত্মসমর্পণের পর থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা দস্যুদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। তাঁদের নানাভাবে সহযোগিতাও করা হয়েছে র‍্যাবের পক্ষ থেকে। প্রতি ঈদে ঈদসামগ্রী ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দস্যুদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১ নভেম্বর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা দস্যুদের মধ্যে আমরা ঘর, জাল, নৌকা, ট্রলার ও গবাদিপশু বিতরণ করব। আমরা বিশ্বাস করি, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এসব মানুষের জীবন মান উন্নয়নে এই উপকরণ ভূমিকা রাখবে।

সূত্র: পূর্ব-পশ্চিম বিডি