শিরোনাম
দুই ঘণ্টায় করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন মাত্র ২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ জন এবং নারী ৩ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা উত্তর সিটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্ধারিত টিকাকেন্দ্র সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে টিকাগ্রহীতাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে। সেখানেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটির ৩১ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্রে গিয়েও মানুষের উপস্থিতি কম দেখা যায়। এর মধ্যে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্রে কোনো লাইন ছিল না। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্রে নারী ও পুরুষদের পৃথক লাইনে ৫ থেকে ১০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে টিকা দেওয়ার দায়িত্বে আছে সূর্যের হাসি ক্লিনিক। সংস্থাটির ব্যবস্থাপক মাহবুবা শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দেওয়া টিকার প্রথম ডোজের সময় দুপুরের পর শুরু করা হয়েছিল। এ কারণে হয়তো প্রথম ডোজ গ্রহীতারা মনে করেছেন দ্বিতীয় ডোজও দুপুরের পরই শুরু হবে। তাই সকালে উপস্থিতি কম থাকতে পারে।
এই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন মোহাম্মদপুর টিক্কাপাড়ার বাসিন্দা মাসুমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমি টিকা কার্ডের তারিখ দেখে চলে এসেছি। প্রথমে ভিড় না দেখতে পেয়ে মনে করেছিলাম আজকে হয়তো টিকা দেওয়া হবে না।’ তিনি কোনো খুদে বার্তা পাননি, মাইকিং করতেও শোনেননি বলে জানান।
এর আগে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে টিকাগ্রহীতাদের কোনো লাইন নেই। টিকাদানকর্মীরা মানুষের জন্য অপেক্ষা করছেন। একটু পর পর এক থেকে দুজন আসছেন, দ্রুত টিকা নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এই কেন্দ্রের দায়িত্বে আছে নারী মৈত্রী নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ জানান, পৌনে দুই ঘণ্টায় টিকা দিয়েছেন মাত্র ১৫ জনকে৷ এর মধ্যে নারী মাত্র একজন। তিনিও দুপুরের পর ভিড় বাড়তে পারে বলে মনে করেন।
সকাল ১০টায় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্ধারিত টিকাকেন্দ্র রায়েরবাজার কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে টিকাগ্রহীতাদের লাইন আছে। তবে খুব লম্বা নয়। নারীদের লাইনে ৪ থেকে ৫ জন আর পুরুষদের ১২ থেকে ১৫ জন।
এই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবির শিক্ষার্থী শুভ্র দেব। তিনি বলেন, টিকা কার্ডে তারিখ লেখা ছিল। এ ছাড়া মুঠোফোনে খুদে বার্তাও পেয়েছেন। এভাবেই টিকা দিতে এসেছেন।
টিকাগ্রহীতাদের উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলের সহকারী রনি হোসেন বলেন, ওয়ার্ডের বেশির ভাগ মানুষ কর্মজীবী। নারীদের অনেকেই বাসাবাড়িতে কাজ করেন। আর পুরুষেরা রিকশা চালান কিংবা সবজি বিক্রি করেন। এরা সাধারণত দুপুরে সময় পান। দুপুরের পর ভিড় বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন।
সূত্র: প্রথম আলো