সেগুনবাগিচায় আবাসিক হোটেলে মিলল ঢাবি ছাত্রের লাশ, পাশে সুইসাইড নোট 

ফানাম নিউজ
  ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:০১

নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর লাশ মিলল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে। বুধবার রাত দেড় টার দিকে কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশে পড়ে ছিল সুইসাইডাল নোট।

ওই ছাত্রের নাম আদনান সাকিব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।  মাস্টার্স করছিলেন অন্য একটি বিভাগে। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলে।  তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারির ডিমলার সোনাখুলিতে।  বাবার নাম আবদুল মালেক।

মঙ্গলবার থেকে সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় জিডি করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে হোটেল কর্নফুলীর ১০৭ নম্বর কক্ষ থেকে বুধবার রাত দেড় টায় লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ধারণা করছে সাকিব আত্মহত্যা করেছেন।  মৃত্যুর আগে তিনি সুইসাইডাল নোট রেখে যান।  সেখানে তিনি লেখেন, তার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নন। 

পুলিশ কর্ণফুলী হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতা ঘেটে দেখে, গত মঙ্গলবার ওই রুম ভাড়া নেন সাকিব।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা বলেন, বুধবার রাত ৯টায় সাকিবের স্ত্রী নুসরাত আফরিন থানায় এসে জানান তার স্বামীকে দু’দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না।  পরশুদিন দুপুরে শেষ কথা হয়, এরপর আর পাওয়া যায়নি। তিনি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ১৯৫৪) করেন। আমরা সাকিবের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং করি। সেখানে দেখা যায়, সেগুনবাগিচা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তার অবস্থান দেখাচ্ছে।  পাশের কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলে খোঁজ নিলে তার সন্ধান মেলে।  আমরা ১০৭ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খুলেননি। পরে দরজা ভেঙে দেখি তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, সাকিব একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে। সেখানে লিখেছেন- তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। তিনি স্ত্রীকে ভালো বলে গেছেন। তার স্ত্রীকে দোষারোপ না করার কথা লিখেছেন। সুইসাইড নোটে ১২ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তার কাছে ১ সেকেন্ড ১ বছরের মতো মনে হয় বলেও লেখা আছে।

পুলিশ জানায়, সাকিবের স্ত্রী নুসরাত আফরিনকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়।  

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, লাশটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। 

সূত্র: যুগান্তর