সরকারি টাকায় কেউ এ বছর হজে যাবে না: সৈয়দা রিজওয়ানা

বিশেষ সংবাদদাতা
  ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৫৫
আপডেট  : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১১

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এ বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না। হজের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিফ্রিংয়ে উপস্থিত রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ আরও অনেকে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ বছর কেউ সরকারি অর্থে হজে যাবে না। হজ ব্যবস্থাপনার জন্য যাদেরকে যেতে হয় তারা যাবে। হজের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। হজের প্যাকেজ এই মাসের শেষেই ঘোষিত হবে। তখন আপনারা দেখতে পারবেন আমরা কতটা কমিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, হজ নিয়ে আমাদের ব্যবস্থাপনা সৌদির ব্যবস্থাপনা সবকিছু মিলিয়ে করতে হয়। সেহেতু ৩০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনার হয়েছে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন সেটাও আমাদের নজরে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে একটা আন্দোলন হচ্ছে, পদ থেকে যে দাবি উঠেছে সেটাও বিবেচিত হচ্ছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে যে সাংবিধানিক সংকট সেটাও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের দু-একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, সাংবিধানিক সংকট হবে না।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, এখন একটা দাবি হচ্ছে যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে। বিষয়টা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চলছে। ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটা সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে পারব বলে মনে করছি। দাবিটি যেহেতু গণদাবি সেই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করতে হবে।

‘৬ মাস পর ঢাকায় পুরনো মোটরযান নিষিদ্ধ’

একই দিন বিদ্যুৎ ভবনে ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুরনো মোটরযান অপসারণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকায় পুরনো মোটরযান নিষিদ্ধ করতে ৬ মাস সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে মোটরযান মালিকরা পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির মোটরযানে পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেবে। তার ভাষ্য, পুরনো মোটরযান অপসারণের ফলে ঢাকার বায়ু মানের উন্নতি হবে, যা নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করবে। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে ঢাকায় শ্বাস নেওয়ার মতো বাতাস থাকবে না। সরকার এমনভাবে কাজ করবে যাতে দূষণ কমে এবং জনদুর্ভোগ না হয়।

ব্রিফিয়ে এই উপদেষ্টা জানান, ডিসেম্বর মাস থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে পুলিশকে জরিমানা করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। দূষণকারীদের জরিমানা করা হবে, যা ব্যাংকে জমা করতে হবে। এতে ড্রাইভাররা হর্ন বাজানো কমাবে।