শিরোনাম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী দুবছর পর দেশে নির্বাচন। এর আগে দেশকে অস্থীতিশীল করতে একটি গোষ্ঠী মাঠে নেমেছে। সেই লক্ষ্যেই রোহিঙ্গা হত্যা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে তারা। এসব গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রীতি নষ্ট করতে যারা চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তাতে প্রতিবেশী ভারত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে।
শনিবার সকালে সিলেট ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে নগরীর জিন্দাবাজারে ইমজা কার্যালয় পরিদর্শনে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এ সময় ইমজা নেতারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছ জানান। এ সময় ইমজা কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় টেলিভিশন সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির, ইমজার সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আনিস রহমানসহ সিলেটের টেলিভিশন সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কুশল বিনিময় শেষে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে সেই সম্প্রীতিতে আঘাত হানার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখছেন। এসব ঘটনা খুব দুঃখজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা হবো। বর্তমান সরকার দেশের সব শ্রেণির মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই মঙ্গল অর্জন করতে হলে দেশের সব মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার।
তিনি বলেন, দেশে বড় বড় উন্নয়ন হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু দুষ্ট লোক এসব বাধাগ্রস্থ করতে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি চিরঞ্জীব। সব ধর্মের লোক সমান সুযোগ সুবিধা পান। তা শুধু রাষ্ট্র নয়, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তা হৃদয়ে ধারণ করে। সম্প্রীতি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।