শিরোনাম
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেফতার সৈকত মন্ডল ও রবিউল ইসলাম রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় হামলা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় লোকজন জমায়েত এবং তাদের উত্তেজিত করার কাজে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
র্যাব বলছে, সৈকত মন্ডল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আলোচনায় আসতে চেয়েছিলেন। তবে আগেই গ্রেফতার পরিতোষ ও উজ্জ্বলের নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণেই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।
খন্দকার আল মঈন জানান, সৈকত মন্ডল রংপুরে একটি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী। আর রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলের পাশের একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়েও তথ্য দিয়েছেন তারা।
র্যাব জানায়, গ্রেফতাররা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অরাজকতা তৈরি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে এই হামলা-অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে ঘটনাস্থলে জড়ো করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে উত্তেজিত করেন। এছাড়া তিনি হামলা ও অগ্নিসংযোগের অংশগ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন। তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এই হামলায় সরাসরি অংশ নেযন। তিনি রবিউলকে নির্দেশনা দেন মাইকিংয়ের মাধ্যমে লোকজন জড়ো করার জন্য। ঘটনার পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
রবিউলের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, এই ঘটনার অন্যতম উসকানিদাতা রবিউল। তিনি সৈকতের কাছে নির্দেশনা পেয়ে মাইকিংয়ের দায়িত্ব তার এক আস্থাভাজনকে দেন। আর নিজে ঘটনার সময় একটি উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে এই হামলায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। পরে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।