শিরোনাম
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ইতোমধ্যে দেশের সব নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে হালনাগাদ তথ্য প্রদান করা হয় এতে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত বিভিন্ন জেলার তথ্য প্রদান করেছে মন্ত্রণালয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বন্যায় আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি (ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার)। ৭৩টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৫২৮টি। ১১ জেলায় মোট ১২,২৭,৫৫৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৮,২২,৭৩৪ জন। মৃত লোকসংখ্যা ৩১ জন (কুমিল্লা-১২, ফেনী- ২, চট্টগ্রাম-৫, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৬, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১, লক্ষীপুর-১ ও কক্সবাজার ৩ জন)। নিখোঁজ লোকসংখ্যা ০২ জন (মৌলভীবাজার)। পানিবন্দি/ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৪,০০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৫,৪০,৫১০ জন লোক এবং ৩৯,৫৩১ টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৬১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
এছাড়া দেশের সকল জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগণ কর্তৃক সংগৃহীত মোট ৮৮,৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) এর মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসককে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করে এক সাথে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।