সমন্বয়কারীদের খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ করায় হাইকোর্টের উষ্মা

ফানাম নিউজ
  ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৯

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি পুলিশের কার্যালয়েছবি প্রকাশ করে জাতির সঙ্গে মশকরা করা হয়েছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

শুনানির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে তাদের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে। মিডিয়ায় দেখা গেছে, তারা কাঁটা চামচ দিয়ে খাবার খাচ্ছেন। তখন আদালত বলেন, ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান পান্না।

সকালে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেছেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়ার পর এক টেবিলে বসে খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. হারুন অর রশীদ। যা রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ডিবি বলছে, সমন্বয়কদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবিতে আনা হয়েছে, তবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।

রোববার (২৮ জুলাই) ছাত্র আন্দোলনের ওই সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাশতা করার কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন হারুন অর রশীদ।

ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম। কী কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, ২৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। এর একদিন পর শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকেও ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।